চুল পড়া বন্ধ করার উপায় । নতুন চুল গজানোর উপায় | All healthy tips

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় । নতুন চুল গজানোর উপায়

বর্তমান সময়ে আপনি কি জানেন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো কি কি? এই বিষয়ে হয়তো অনেকেই জানে না। এখনকার সময়ে এটি একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনাদের চিন্তার কোন দরকার নাই কারন আজকে আমি চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
এখন আপনি যদি এই সমন্ধে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ন পড়ে নিতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায় । নতুন চুল গজানোর উপায়।

অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে কিছু কথা।

নারী ও পুরুষ সর্বোচ্চ সৌন্দর্যের প্রতীক হলো মাথার চুল। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সবারই এই সমস্যার ভুগতে দেখা যাচ্ছে। এই চুল পড়া দেখতে দেখতে আমরা প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেছি। চুল পড়া একটি হতাশাজনক অভিজ্ঞতা, যা শারিরিক এবং মানসিক ভাবে উভয় যন্ত্রনার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আপনি চিন্তা করবেন না কারন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং নতুন চুল গোজানোর উপায় নিয়ে আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। আর সেখান থেকে আপনি আপনার সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ জেনে নেই।

বর্তমান সময় চুল পড়া প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বর্তমানে ৮০% লোকই এ সমস্যায় ভুগছে। তাই এর প্রথম পদক্ষেপ হলো এর কারণগুলি বুঝে সমস্যাটি মোকাবেলা করা এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বের করা।
বিভিন্ন কারণে আমাদের চুল পড়ে থাকে। আর চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে কিসের জন্য আমাদের চুল পড়ছে । তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়ার কিছু সাধারন কারণ;

  • জেনেটিক ফেক্টর; আমাদের মাথার চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো জেনেটিক্স। যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো মাথার চুল পড়ে যায় অথবা চুল পাতলা হয়ে যায় তাহলে এটি আপনার বয়স বেশি হওয়ার সাথে সাথে চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এন্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া নামে এক ধরনের চুলের ক্ষতি পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়কেই প্রভাবিত করে এবং ডাই-হাইড্রো-টেস্টোস্টেরন (DHT) নামক হরমনের জন্য দায়ী যা চুলের গড়া গুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে আমাদের চুল পাতলা হয়ে যায় এবং অনেক চুল পড়ে।
  • হরমোনের পরিবর্তন; হরমোনের ভারসাম্যতা চুলের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের চুল পড়ার জন্য দায়ী। হরমোনের জন্য পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিনড্রোম (PCOS) থাইরয়েড ডিজ অর্ডার এবং গর্ভাবস্থায়, প্রসব বা মনোপজের কারণে হরমোনের মাত্রার বিভিন্ন রকম পরিবর্তনের মত অবস্থা গুলোর জন্য চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এই হরমোনের ওঠা-নামার জন্য অত্যাধিক পরিমাণে চুল পড়তে পারে এমনকি প্যাটার্ন যুক্ত চুলের ক্ষতি হতে পারে।
  • পুষ্টির ঘাটতি; চুল পড়ার আরেকটি কারণ হলো দুর্বল পুষ্টি। আয়রন, জিংক, বায়োটিন এবং ভিটামিন এ, সি এবং ই এগুলোর মত প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অপর্যাপ্ত গ্রহণ চুলের গোড়াগুলোকে দুর্বল করে দেয়। এমনকি চুলের বৃদ্ধিতে বাধা গ্রস্থ করতে পারে। সুষমা খাদ্য ঠিকমতো গ্রহণ না করলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাবজনিত কারণে চুল বেশি পরিমাণে পড়ে থাকে।
  • স্ট্রেস এবং মানসিক কারণ; মানসিক চাপ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা চুল পড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার স্ট্রেস চুলের বৃদ্ধি থেকে ব্যাহত করতে পারে যার ফলে ট্যালোজিন এফলোভিয়াম নামক একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়, যার ফলে চুলের গোড়াগুলি দুর্বল হয়ে যায় অবশেষে ঝরে যায়। উপরোক্ত মানসিক ব্যাধির কারণে চুল টানা বা পেকে যাওয়ার মতো পুনরাবৃত্তিমূলক কারণ চুল পড়াকে অনেক বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • পরিবেশ গত কারণ; প্রতিদিন বিভিন্ন রকম কাজের চাপে পরিবেশ গত কারণে চুল পড়া শুরু হয়। বিভিন্ন রকম দূষণ, অত্যাধিক তাপ এবং চুলে ব্যবহার করা পণ্যগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক ব্যবহার চুলের স্ট্যান্ডগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে যা চুল ভেঙে যাওয়া এবং পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। আবার ক্লোরিন যুক্ত বা শক্ত জলের দীর্ঘায়িত এক্সপোজারও চুলের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • চুলের স্টাইল করা; আমরা আমাদের চুলকে স্টাইলিশ ভাবে তৈরি করার জন্য অথবা বাইরে কোথাও যাওয়ার জন্য চুলকে স্টাইলিশ করি। আর এই স্টাইলিশ করার জন্য বিভিন্ন রকম রাসায়নিক উপাদান যোগ্য বিভিন্ন রকম পণ্য চুলে ব্যবহার করে থাকি। এর কারণে আমাদের চুল আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার কিছু গরম স্টাইলিশ সরঞ্জাম ঘন ঘন ব্যবহার, পার্মিং, শিথিলকরন বা রং করার মত প্রক্রিয়াগুলির কারণে চুলের খাদ্যকে ক্ষতি করতে পারে এবং চুল পড়ে যেতে।

প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার পদ্ধতি।

প্রত্যেক নারী এবং পুরুষের জন্য মাথার চুল হলো সৌন্দর্যের প্রতীক। কিন্তু এই চুল পড়ার সমস্যা অনেক ব্যক্তিকে হতাশ করে দেয়। অত্যাধিক চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, টাক হয়ে যাওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাসকে অনেকখানি দুর্বল করে দেয়।
যদিও চুল পড়ার বিভিন্ন রকম কারণ থাকতে পারে তারপরও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এবং নতুন চুল বৃদ্ধির জন্য আমাদের চুলের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের চুল পড়া বন্ধের জন্য এবং নতুন চুল গজানোর কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব;

  • চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রথমত আমাদের রুটিন তৈরি করতে হবে। রুটি অনুযায়ী চুলের যত্ন ঠিকমতো নিতে হবে। দোকানে অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত পণ্যগুলোকে চুলের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হালকা এবং প্রাকৃতিক চুলের যত্নের যেসব পণ্য থাকে সেগুলো বেঁচে নিতে হবে।
  • আপনার চুল ধোয়ার সময় পানির তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করাই ভালো কারণ বেশি গরম পানি চুলের দাগ নষ্ট করে দেয়। স্ট্রেইটনার এবং কার্লিং আয়রনের মত ঘন ঘন তাপ এরকম স্টাইলিশ সরঞ্জাম গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তাপ চুলের খাদ্যকে নষ্ট করে দেয় যার ফলে চুল পড়ে যায়।
  • প্রতিবার আপনার চুলের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য সঠিকভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। কন্ডিশনার চুলকে বিচ্ছিন্ন করতে সাহায্য করে, এটি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য করে তোলে এবং চুল ভাঙ্গা সম্ভাবনা একেবারে কমিয়ে আনে। কন্ডিশনের ব্যবহার করার সময় এটি আপনার মাথার ত্বক এড়িয়ে থাকুন তারপর চুলের মাঝামাঝি এবং চুলের ডগার প্রান্তে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন কারণ এটি চুলকে চর্বিযুক্ত করে তোলে।
  • নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া চুলের যত্ন নেওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ হলো একটি গুরুত্বপুর্ন দিক। উষ্ণ তেল দিয়ে আপনার মাথার ত্বক কে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন অনেক গুন বেড়ে যায়। এর মাধ্যমে চুলের গোড়াগুলোকে অনেক শক্তিশালি করে এবং ডগা পর্যন্ত পুষ্টি জোগায়। নারকেল, বাদাম, বা জলপাই তেলের মতো তেল বেছে নেওয়া আপনার চুলের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করতে পারে। যাইহোক আপনি নিশ্চিত করবেন যে চুলে বেশি পরিমানে তেল লাগাবেন না, না হলে চুলে স্ক্যাল্প হতে পারে এবং আপনার চুলের ওজন কমাতে পারে।
  • চুলে ব্রাশ করা বা চিরুনি ব্যবহার করার মাধ্যমে এটি আপনার মাথার ত্বক থেকে চুলের বাকি অংশে সুন্দর ভাবে তেল বিতরন করতে সাহায্য করে। এর ফলে চুল অনেক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। একটি ভালো দাঁত যুক্ত চিরুনি এবং নরম ব্রিস্টল সহ চিরুনি ব্যবহার করুন তাহলে আপনার চুল আলতোভাবে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত আঁচরাতে পারবেন। এটি অপ্রয়োজনীয় চুল ভাঙ্গা প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে যখন আপনার চুল ভেজা এবং আরও ভঙ্গুর থাকে।
  • চুলের যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের আরেকটি অপরিহার্য দিক হল পরিবেশগত ক্ষতি থেকে আপনার চুলকে রক্ষা করা। সূর্যের অত্যধিক এক্সপোজার, দূষণ এবং অতিরিক্ত আবহাওয়া চুলকে দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে চুল শুষ্ক, ভঙ্গুর এবং ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার চুলকে রক্ষা করার জন্য, বাইরে যাওয়ার সময় একটি টুপি পড়া বা স্কার্ফ ব্যবহার করার কথা মাথায় রাখতে হবে, বিশেষ করে সূর্যের আলোর সময়।
উপরে বর্ণিত পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক নিয়মে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছি। আর এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় আমরা আমাদের চুল পড়া কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পারব।

চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর উপায়।

বর্তমানে চুল পড়ার মাধ্যমে বেশিরভাগ নারী ও পুরুষের অভিজ্ঞতা তাদের আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে চুল পড়া রোধ করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিকে উন্নত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে। এই চিকিৎসা গুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা সমর্থিত এবং অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফল দেখতে পাওয়া গেছে।

  1. চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে প্রথম হলো মিনক্সিডিল। এই ওষুধটি ফেনা, স্প্রে সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় এবং এটি সরাসরি মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যায়। মিনোক্সিডিল মাথার ত্বকের রক্ত নালিগুলোকে প্রশস্ত করতে কাজ করে যার ফলে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এবং চুলের সম্পন্ন বৃদ্ধি কে উদ্দীপিত করতে পারে। যদিও লক্ষণীয় ফলাফল দেখতে কয়েক মাস সময় লাগবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে মিনোক্সিডিল চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল বৃদ্ধিতে উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
  2. চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরেকটি বিকল্প হল ফিনাস্টারাইড বিপরীতে মিনক্সিডিল। ফিনাস্টারাইড ট্যাবলেট মৌখিকভাবে এটি মূলত টেস্ট আকারেও পাওয়া যায়। টেসটোস্টেরনকে ডাই-হাইড্রো- টেস্টোস্টেরন (DHT) তে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। মাথার চুল পড়তে হরমোন অনেক অবদান রাখে। মাথার ত্বকের DHT মাত্রা একটু কমিয়ে ফিনাস্টারাইড চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এবং কিছু ক্ষেত্রে পুনঃবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। এই ওষুধটি সাধারণত মেয়েদের চাইতে ছেলেদের জন্য বেশি কার্যকর এবং এর সুবিধাগুলি ছেলেদের সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ, আবার এটি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।
  3. যাদের অনেক বেশি পরিমাণে চুল পড়ে এবং তারা গুরুতরভাবে চিকিৎসার খোঁজ করছেন তাদের জন্য হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করা একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। এ পদ্ধতিতে সাধারণত এক স্থানের লোমযুক্ত অংশ (সাধারণত মাথার ত্বকের পিছনে অংশ বা পাশের অংশ) এবং মাথার চুল না থাকা অংশে তাদের প্রতিস্থাপন করা হয়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বর্তমান বছরের পর বছর উন্নত হতে আছে। এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একজন যোগ্যতাসম্পন্ন সার্জেনের সাথে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি অনেক ব্যয়বহুল হতে পারে এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য একাধিক সেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
  4. অন্য আরেকটি মাধ্যম হলো নিম্ন স্তরের লেজারের থেরাপি (LLLT) চিকিৎসা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই চিকিৎসার জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এই নন-ইনভেসিভ পদ্ধতিতে লেজার ডিভাইস বা চিরুনির ব্যবহার করার মাধ্যমে মাথার ত্বকের নিম্ন স্তরের আলো নির্গত করে।এই পদ্ধতিতে হালকা শক্তি চুলের গড়াগুলোকে উদ্দীপিত করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলা হয়। এ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে বোঝানো গেলেও বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে (LLLT) ঘন চুল এবং চুলের সংখ্যা অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে পারে।
দেখা যায় অনেক সময় আমরা আমাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নানা রকম পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকি কিন্তু মাঝে মাঝে সেগুলো বিফলে যায়। তখন আমরা নিরুপায় হয়ে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকি। প্রকৃতপক্ষে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এবং নতুন চুল গজানোর জন্য যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিই তাহলে অবশ্যই অন্যান্য পদ্ধতির থেকে চিকিৎসকের পরামর্শটি বেশি কাজে আসে। কাজেই এ সকল সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অতিগুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শেষ কথা। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং নতুন চুল গজানোর উপায়

চুল পড়া হলো একটি বিরক্তিকর এবং হতাশাজনক যাত্রা কিন্তু এটি মোকাবিলা করা এবং নতুন চুল গজানোর উপায় জেনে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আবার নতুন চুলের বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে তারপরও আপনাকে প্রথমে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী চুল পড়া বন্ধের টিপস গুলো মেনে চলতে হবে। উপরে বর্ণিত টিপস গুলোর মাধ্যমে আপনার জীবন যাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন অবশ্যই করবে। তার জন্য আপনাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং চুলের যত্নে ভালো উপদেশ গুলি মেনে চলতে হবে।
সুতরাং, আপনাকে উপরের আলোচনাকৃত সমস্ত নিয়ম এবং উপদেশ গুলি মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং নতুন চুল গজানোর উপায় জানতে পেরে সেটির যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। তারপরও যদি কোন কিছু জানার তা জিজ্ঞাসা করার থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের প্রত্যেকটি কমেন্টের উত্তর দেওয়া হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হবে।

comment url